আত্ম নির্ভরশীল হওয়া ব্যপারটা আসলে কি????

আত্ম নির্বরশীল হওয়া মানে নিজ ক্ষমতায় কিছু করা বা নিজে থেকে কোন কাজের উদ্দোগ নিয়ে কাজটি চালিয়ে যাওয়া। আমাদের দেশে বর্তমানে বেকারত্ব সব থেকে বড় সমস্যা এ সমস্যা প্রতিদিন বেড়ে চলছে। একটি চাকুরির খবর হলে কয়েক হাজার লোক আবেদন করে। তারপর তো ঘুস নামের জাতাকলতো আছেই। ১০০০০ টাকার চাকুরির জন্য ৩৫০০০০-৫০০০০০ টাকা দিয়েও কোন প্রকার নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছেনা। বিভিন্ন ধরনের লোভি মানুষ চাকুরি নামের একটি ফাদ পেতে হাজার মানুষের সর্বস্য লুট করছে। মানুষ সব হারিয়ে দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে আমরা যারা ছোট বা মধ্যম পরিবারের মানুষ তাদের জন্য সমস্যাটা ব্যপক ভয়াবহ। আমরা পারছিনা অন্যের কাজ করতে , চাকুরি তো পাচ্ছিনা কি করবো??? মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে।


কেমন হয় যদি আমরা আমাদের সামান্য পুজি খাটিয়ে বা বলতে পারেন আমর যা আছে তাই দিয়ে নিজে থেকে কিছু করলে বা করে নিজের খরচ সহ জীবন পরিচালনার জন্য অর্থ নামের বস্তুটার যোগানি দিতে পারলে? আমি পেশায় একজন ব্যবসায়ি, চাকুরির জন্য বিভিন্ন চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। যত টাকা চাকুরির পিছনে ইনভেষ্ট করতে হবে তা আমার নেই। তাই ব্যবসা শুরু করি এখন ব্যবসার সাথে বিভিন্ন ধরনের কাজ যোগ করেছি, যেমন- মাছ চাষ, কবুতর পালন, নার্সারী, সব্জি চাষ ইত্যাদি। এপনিও চাইলো আপনার যে বিষয়ে দক্ষতা আছে সে বিষয়টি কাজে লাগিয়ে একটু পরিশ্যম করে নিজেকে গড়তে পারেন, নিজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন। আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি চাকুরি করবেন নাকি নিজ স্বাধিন কিছু কাজ করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্ঠা করবেন। আপনার সিদ্ধান্তের পরে আপনাকে নিচের বিষয় গুলো মাতায় রেখে এগোতে হবে।


১. আপনার কি করতে বেশি ভালোলাগে? একজন মানুষের অনেক কিছুই করতে ভালোলগতে পারে যেমন কারো গান শুনতে ভালো লাগে আবার কারো খেলাধুলা করতে ভালোলাগে। সবার ভালোলাগা এক নয়। তাই আপনার এমন একটা কাজ বাছাই করতে হবে যাতে আপনার ভালোবাসার কজটা মন থেকে হাড়িয়ে না যায়। কোন কাজ মন থেকে করলে তা অনেক সহজ হয় এবং সুন্দর হয়। পরিশ্রম কখোন মনকে দূর্বল করতে পারেন।


২. আপনার কোন কাজের উপর দক্ষতা বেশি? আমাদের প্রত্যেক মানুষের বিচিত্র কিছু অভিজ্ঞতা আছে, আমাদের বেছে নিতে হবে আমরা কোন বিষয়ে অভিজ্ঞতা আছে। কারন অভিজ্ঞতা ছাড়া কোন প্রকার কাজে সফল হওয়া যাবেনা। মনে মনে ভাবতে পারেন আমিতো কোন কাজে পারদর্শি না তাহলে!!! সমস্যা নেই, যা জানেন তার মধ্য থেকে যেটি অপেক্ষাকৃত বেশি জানেন তার উপর জোর দিন। বই পড়ার অভ্যাস করুন পারদর্শিদের সাথে যোগাযোগ রাখুন। যে আপনার চেয়ে একটু হলোও ভালো জানে তার থেকে জেনে নিন। নেট থেকে বিভিন্ন ধরনের পেজ থেকে টিউটরিয়াল পড়ুন, ডাউনলোড করে ই-বুক পড়ুন চর্চা করুর আপনি অবশ্যই পারদশি হবেন, ইন্সআল্লাহ্।


৩. আপনার আর্থিক অবস্থা কেমন? আপনার আর্থিক অবস্থার ব্যপারে ধারণা থাকা দরকার, কারন এমন কাজে হাত দিলেন যা আর্থিক ভাবে পরিচালনা করা আপনার পক্ষে অসম্ভব তাই আর্থিক অবস্থা বুঝে আপনার কাজে নামা উচিৎ।


৪. আপনি কোথায় থাকেন? আপনি কোথায় থাকেন তার উপর ভিত্তি করে আপনার কাজ নির্বাচন করতে হবে। কারন আপনি যে কাজ শুরু করবেন তার সুফল মানুষের মাঝে পৌছে দিতে না পারলে আপনার পরিশ্রম অনার্থক হবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাদি অনলাই মার্কেটিং শুরু করেন তবে তা বেমানান, কারন ঐ অঞ্চলের মানুষ হয়ত অনলাইন সম্পর্কে তেমন কিছুই যাজেনা তো অনলাইন মার্কেটিং।


আমাদের চারদিকে লক্ষ্য রেখে দেখতে হবে কোন বিষয় নিয়ে কাজ করলে তার চাহিদা আছে, লাভজনক, ঝুকির পরিমাণ শিমিত, নিজের পক্ষে করা সম্ভব এ সকল বিষয় বিবেচনা করে একটি কাজ শুরু করুন। আশা করি শাফল্য আসবেই ইন্স আল্লাহ।


কাজের বিভিন্ন প্রকার হতে পারে যেমন:- ব্যবসা, সেবা, কৃষি ইত্যাদি । পরবর্তি পোষ্টে আপনাদের বিভিন্ন কাজের ব্যাপারে ধারোনা দেবার চেষ্টা করবো। এ পর্যন্ত ভালো থাকবেন সবাই, আমার জন্য দোয়া করবেন।

Comments

Popular posts from this blog

মাইক সার্ভিস ব্যবসা

সাউন্ড সিষ্টেম ও মাইক সার্ভিস ব্যবসা

কবুতর পালন ব্যবসা