সাউন্ড সিষ্টেম ও মাইক সার্ভিস ব্যবসা
আমাদের
দেশে বিভিন্ন সময়ে নানান রকমের অনুষ্ঠান হয় যেমন ঈদ, কুরবানি, ঈদুল ফিতর, মাহফিল, স্কুলের
নানান অনুষ্ঠান, পূজা, নির্বাচনী প্রচারনা সহ বিভিন্ন খরনের অনূষ্ঠান হয়। তাছাড়া বিবাহ,
খাতনা, বন ভোজন, মেলা ইত্যাদি। সকল প্রকার অনুষ্ঠানেই সাউন্ড সিষ্টেম ব্যবহার করা হয়।
সমস্যা কি যদি এ অনুষ্ঠানের দায়িত্বে আপনি থাকেন। তার উপরে যদি থাকে গান শোনার ব্যক্তিগত
শখ তো কথাই নেই। একবার পুজি কাটালে আর দরকার নেই। ভাড়া দিবেন আর টাকা তোলবেন ব্যাস।
প্রথমিক
দিকে কম পুজি থাকলে এক পেয়ার বক্স ও একটি মাইকের মেশিন সাথে ৩-৪টি ইউনিট দিয়ে শুরু
করতে পারেন বা শুধু এক পেয়ার বক্স দিয়েও শুরু করতে পারে। তারপর আস্তে ধিরে ব্যবসা প্রসস্ত
করলেন। পরিচিতিও বাড়লো, ব্যবসাও চাঙ্গা হলো। যদি একটু বেশি পুজি খাটাতে পারে তবে এক
সাথে মাইক ও বক্স কিনতে পারেন।
সাউন্ড
বক্স তৈরি:-
বাজারে
বিভিন্ন ধরনের চায়না বক্স প্রাওয়া যায় যা ১৫০০০/--৪০০০০/- দামে বিক্রি করে থাকে এগুলো
মোটামুটি কাজ চলে তবে নেজে তৈরি করা সাউন্ড বক্সের মান সব সমই ভালো। ৪৫০০০/-- ৭০০০০/-
টাকার মধ্যে বক্স তৈরী করতে পারেন। ইচ্ছে মতো সার্ভিস করতে পারবেন। ঝুকির পরিমাণ কম
ও সাউন্ডের বেষ্ট কোয়ালিটি পাবেন। যে কোন বড় শহরে ইলেকট্রনিক্সের দোকান থেকে যাচাই
করে এবং অভিজ্ঞদের সাহায্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। যদি টাকা দিয়ে বাজে কোয়ারিটির
মেশিন, বক্স তৈরি করেন তবে ব্যবসার শুরুতেই লোসখানের সম্ভাবনা থাকবে। তাই মেশিন তৈরির
আগেই সব কিছু বুঝে তার পর সামনে এগাতে হবে।
ভালো কোয়ালিটির সাউন্ড বক্সে যা
থাকবে:-
হাই
ভোল্টেস (কমপক্ষে) ২৪ ট্রেন্জিষ্টরের মেশিন।
১৬” ইস্পিকার ৪ টা, ৪” কয়েল হলে ভালো হয় ।
ভালো
মানের টুইটার ২টি।
মিক্সার
মেশিন ১ টি ৬ চ্যানেল বা তার থেকে বেশি, দরকার অনুযায়ী।
কট
মাইক্রোফোন ও কট লেস মাইক্রোফোন ভালো মানের দেখে কিনবেন।
ব্যাস
আপনার মেশিন রেডি। এখানে দেখার বিষয় হলো মেশিনে ট্রান্সফর্মার অনেক ক্ষেত্রে কম মানের
দেয় সেটা মেশিনের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর এবং তাতে ভালো মানের সাউন্ড হবে না। স্পিকারের
ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কম্পানির স্পিকার থেকে সঠিক মানেরটা বাছাই করা কঠিন তবে ফাইভ
কোড় (কম দামের) বা জেবিএল (মোটামুটি) এবং আরো ভালো মানের স্পিকার রয়েছে তা থেকে সমার্থানুযায়ী
কিনবেন। বক্সে টুইটার কাটা একটা বড় সমস্যা তাই বক্সে পেলো সুপার বা অন্য সার্কিট টুইটারের
সাথে ব্যবহার করা ভালো। তবে যদি চান ফিল্টার দিয়ে কাজ চালাতে পারবেন সেক্ষেত্রে দু
দিকে ৮ টি ফিল্টার লাগিয়ে দিন। ফিল্টারের দাম অত্যান্ত নগন্য। অবশ্যই টুইটারের কয়েল
নিজের কাছে অতিরিক্ত রেখে দিবেন। মিক্সার মেশিন নানা ধরনের ও নানা দামের বাজারে রয়েছে
তা থেকে আপনার পছন্দ মতো কিনবেন। কোন একটা অনুষ্ঠানে একাধির মাইক্রোফোন ব্যবহারের জন্য
মিক্সার ব্যবহার করতে হয়। তাছাড়া সাউন্ড কোয়ালিটি সুন্দর করতে বা নিয়ন্ত্রন করতে মিক্সার
একান্ত দরকার। কোন কনসার্টে আপনার বক্স ভাড়া দিলে সেখানে ভালো মানের মাইক্রোফোন এবং
একধিক মাইক্রোফোন দিতে হবে। কোন অনুষ্ঠানে সাউন্ডের বাজে নয়েচ চলতে দেয়া যাবেনা তাতে
আপনার দূর্নাম হবে এবং ব্যবসায় ক্ষতি হবে।
উপরে
যে মালামালের বিবরণ দেয়া আছে তা আপনি ৫০০০০/- ৬৫০০০/- টাকার মধ্যে পেয়ে যাবে বা স্পিকারের
দাম কমান তবে খরচ আরো কমবে। যদি এক পেয়ার সাউন্ড সিষ্টেম ঠিক ভাবে ১ বছর ব্যবহার করতে
পারেন তাতে আপনার চালান সহ মুনফা অর্জন করতে পারবেন। তাবে বক্সের সাথে একজন অপারেটর
দেয়া আবশ্যক নইলে বিভিন্ন ধরনের জামেলার তৈরি হয়। নিজ হাতে সঠিক ভাবে ব্যবহার করলে,
নিয়ন্ত্রিত সাউন্ড সার্ভিস করলে মেশিনের কোন প্রকার সমস্যা হয়না। ইলেকট্রনিক্সের মালামাল
নষ্ট হওয়াটা অশাবাবিক কিছু নয়। তবে তা মেরামতে খুব বেশি খরচ পরবেনা।
মাইক
সার্ভিস- এখন নয় আমাদের সাথে থাকুন পরবর্তিতে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো ইন্স আল্লাহ্।
সে পর্যন্ত ভালো থাকবেন সকলে। আপনার জীবন সুখর হোক। আমার জন্য দোয়া করবেন। এই পোষ্টটি PDF হিসেবে পেতে এখানে ক্লিক করুন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশাকরি আগামিতে আরো ভালো পোষ্ট দিবেন ।
ReplyDelete৩২×৩২ট্রান্জিষ্টরের একটি ষ্টেরিও এম্পলীফায়ার মেশিন বানাতে চাই।
ReplyDeleteপাউয়ার সাপ্লাই কত "ভোল্ট" আর কত "এম্পিয়ার" এর দিলে ফুল পাওয়ার পাব।